প্রকাশিত: Sat, Jun 24, 2023 9:02 PM
আপডেট: Sat, Dec 6, 2025 2:23 PM

রংপুর ও সিলেট অঞ্চলে নদীর পানি কমেছে, গো-খাদ্যের সংকট

মুরাদ হাসান: কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও সুনামগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি সরে যেতে শুরু করেছে। স্বাভাবিকভাবেই এখন এসব এলাকায় পানিবাহিত রোগ দেখা দিচ্ছে, জেলা সিভিল সার্জন অফিস এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। 

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি শাহনাজ পারভীন জানান, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধরসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। যাত্রাপুর এলাকার বাসিন্দারা জানান, পানি কমতে শুরু করলেও  গো খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। 

সিভিল সার্জন মুনজুর এ মুর্শেদ জানান, জেলায় ৮৬টি মেডিকেল টিম কাজ করছে ।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, সব কটি নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার নিচে রয়েছে এবং পানি কমতে শুরু করেছে। এখন আরো দিন দিন কমতে শুরু করবে।

লালমনিরহাট থেকে রিয়াজুল ইসলাম জানান, কমতে শুরু করেছে তিস্তা ও ধরলা নদীর পানি। 

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ  বলেন,  পানি কমতে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। এখন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি  নেওয়া হয়েছে। 

সুনামগঞ্জ থেকে তাছাদ্দুক রাজা জানান, শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করেছে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমার পানি। কমেছে পাহাড়ি নদী যাদুকাটার পানিও। বন্যার আতঙ্ক কেটে স্বস্তি ফিরেছে জনমনে।

তবে উজানে পানি নেমে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাটি এলাকা দিরাই, জগন্নাথপুর নদীগুলোতে। গত কয়েকদিনে নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ছাতকসহ জেলার অন্যান্য এলাকার নিম্নাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছিল। সম্পাদনা: সালেহ্্ বিপ্লব